১৫ জুন ২০২৫ তারিখে পেরুর উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ভূমিকম্পের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে, যার মাত্রা ছিল ৬.১–৫.৬। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে কলাও শহর থেকে কয়েক দশ কি.মিটারে। প্রথমে এর তীব্রতা অনুমান করা হয় ৫.৬, পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে তা ৬.১ হিসেবে সংশোধন করা হয়।
ভয়াবহ ঘটনাতেই এক জীবনের মর্মান্তিক ক্ষতি ঘটে। এক ৩৬ বছরের পুরুষ স্থানীয় সময় গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় নির্মাণাধীন দেয়ালের ধসে চাপা পড়ে মারা যান। পাশাপাশি অন্তত ৫ জন আহত হয়, যাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লিমা এবং কলাওতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যায়—রাস্তাঘাট, স্কুল, বিলবোর্ড ও দুর্গম এলাকার কাঠামোয় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সুনামি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি, তবে সম্ভাব্য ভূমিধস ও অবকাঠামোগত ঝুঁকি বিবেচনা করে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পেরুর রাষ্ট্রপতি Dina Boluarte কলাও যান, অবস্থার নিজে মূল্যায়ন করেন এবং জনগণকে শাসন করেন। পাশাপাশি ফুটবল ম্যাচ স্থগিত করা হয় এবং ধর্মীয় প্রার্থনায় বিরতি দেওয়া হয়, যাতে মানুষ আতঙ্ক না ছড়ায়।
পেরুতে ভূমিকম্প কোনো একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয়; এটি ‘Ring of Fire’ এলাকাভুক্ত একটি দেশ। সাম্প্রতিক সময়ে ২০২১ সালে একটি ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প লিমাতে ঘটে, আর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল ১৯৭০ সালের আনকাশ ভূমিকম্প, যাতে প্রায় ৭০,০০০ মানুষ মারা যায়। অতীতের এই ভয়ানক ঘটনার কারণে দেশজন কোনদিনেও ঝুঁকিতে রয়েছে।
🔥 পরামর্শ: স্থানীয় প্রশাসন ও ইমারজেন্সি সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ভূমিকম্প বিরতি ব্যবস্থায় জনগণকে সচেতন করতে হবে—প্রধানত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দুর্গম এলাকা ও অবকাঠামো দুর্বল এলাকায়। ভবিষ্যতে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘর, নির্মাণ ও অবকাঠামোর উন্নত পরিকল্পনা জরুরি।
আপনি আরও জানার জন্য কি চান? যেমন ভৌগোলিক বিশ্লেষণ, রেসপন্স পদ্ধতি বা ভবিষ্যত ঝুঁকিতে করণীয়? বিস্তারিত জানাতে প্রস্তুত আছি।
0 Comments